পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন এর মোহাম্মদপুর গ্রাম এর বাসিন্দা আলহাজ্ব হাফেজ আহমদ পাটোয়ারীর ফসলি জমিতে রাতের আঁধারে সরকারি আইন না মেনে জবর দখল করে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে কাজী গফুর নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
হাফেজ আহমদ পাটোয়ারী অভিযোগ করেন, কাজী গফুর মাত্র একটি জায়গার মূল খরিদদার কিন্তু জায়গা বিক্রর পূর্বে একটি বায়নাপত্র ও হয়েছে ২০১১সালে বায়না পত্রের ঠিক ১০দিন পরেই ২০৩৬ দাগ মাট জরিপে ২৩৫০ দাগের বায়নাপত্র হয়। কিন্তু গফুর জায়গা রেজিস্ট্রি নেওয়ার পর বায়না পত্রটি নুর মোহাম্মদ গং কে ফেরত দেয়নি । বায়নাপত্রে কোন জায়াগার দাগ বা অন্য কিছু উল্লেখ নাই ।নুর মোহাম্মদ গং এরা প্রবাসি ও সহজ সরল মনে গফুরকে বিশ্বাস করে বায়নাপত্র ও ফেরত চায়নি । কিন্তু গফুর সম্পূর্ন মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বলছে আমি বায়না করেছি একটি আর খরিদ করেছি অন্যটি যেটি তার নিকট দলিল রয়েছে ।
দু ভাইয়ের এক খতিয়ানের জায়গা কিভাবে একজন থেকে রেজিস্ট্রি করে ও করলে ও আইনগত শুদ্ধ হয়নি জানালেও গফুর বলছে এটাই শুদ্ধ আছে আমি কোন কথা বলতে চাইনা শুনতে চাইনা আমার জায়গা আমি যে ভাবে পারি দখল করে নেব ।হাফেজ আহমেদ ও নুর মোহাম্মদকে হুমকি দিয়ে বলে পারলে কিছু করিও ।এ ভাবে গফুর গং কোন সালিসি তোয়াক্কা না করে জোর পূর্বক ভিবিন্ন দাগের জায়গা মাটি খনন ও বিক্রি করে আসছে ।সেই প্রেক্ষিতে সরেজমিনে সাংবাদিকরা গিয়ে দেখেন আলহাজ্ব হাফেজ আহমদ এর ২০৬৭ নং দাগের ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা আছে। হাফেজ আহমদ সাংবাদিকদের জানান আমরা সপরিবারে বাড়িতে না থাকার কারণে বর্গা চাষী কাজী আবদুল গফুর আমাদের জমি চাষাবাদ করতেন। সে সুযোগ নিয়ে আমাকে না জানিয়ে আমার ফসলি জমিতে একটি পুকুর খনন করে ফেলে। কিন্তু আমার ছোটভাই নুরমোহাম্মদ পাটোয়ারী বর্গাচাষী আব্দুল গফুরের কাছে ৯ বছর পূর্বে ২০৪২নং দাগের জমিটি বিক্রি করেছেন। কিন্তু দলিল লেখক এর ভুলের কারণে ২০৪২ নং দাগে’র পরিবর্তে এস, এ ২০৩৬ নং ও বি এস ২৩৫৫ নং দাগ টিতে দুই দাগে ৯ শতাংশ জমি সাফ কবলা হয়। কিন্তু দুই দাগের জমি ভোগ দখলে না নিয়ে ২৩৬৭ নং দাগের পুকুর খনন করেছে। কিন্তু বর্তমান ইউপি সদস্য মামুন ও বর্তমান আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গফুর গংরা দুইবার সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে কোন ফলাফল না পাওয়াতে আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। এ বিষয়ে বর্গা চাষী আব্দুল গফুর এর কাছে জানতে চাইলে আমাকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
অপরদিকে কাজী আবদুল গফুর সাংবাদিক কাউসার হামিদ শিকদার পিনু প্রশ্নের জবাবে জানান আমি কাউকে না জানিয়ে ২৩৬৭ নং দাগে পুকুর খনন করেছি। কেন পুকুর খনন করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে সে বলে আমি তার ভাই থেকে ২ দাগে জায়গা ক্রয় করেছি কিন্তু আমি এখন এক দাগের জমি নিতে চাই তাই আমি কোর্টে একটি মামলা ও করেছি। মামলা যদি আমি হেরে যাই তাহলে আমি তার জায়গাটুকু বড় করে দিব।