বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটাই ভালো। তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এছাড়া তাকে দুই কাপ স্যুপও খাওয়ানো হয়েছে। প্রেসারও এখন প্রায় স্বাভাবিক ১৩০/৮০।
বিএসএমএমইউ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জামান শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সাংবাদিকদর এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, খানিকটা সুস্থতাবোধ করার পর থেকেই ওবায়দুল কাদের বাসায় ফিরে যেতে উদগ্রীব হয়ে আছেন। হাসপাতালে না থেকে বাসায় গিয়ে বিশ্রামে থাকলে সমস্যা হবে কি-না জানতে চেয়েছেন। অধিকতর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাবেন কি-না, চিকিৎসকরা তাকে এমন প্রশ্ন করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মাত্র কয়েকদিন আগেই সিঙ্গাপুর থেকে ফিরেছি, এখনই আর সিঙ্গাপুরে যেতে চাই না।’ বিএসএমএমইউতে দর্শনার্থীদের ভিড়ের কারণে তাকে আগামীকাল রোববার রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পাঠানো হতে পারে।
ডা. মোস্তফা জামান জানান, সকালের দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে আসছেন বলা হয়েছিল। ওবায়দুল কাদের খানিকটা সুস্থতাবোধ করলে প্রধানমন্ত্রী তাকে দেখতে আসছেন শুনে বলেন, ‘আপা, খোঁজ-খবর নিয়েছেন তাতেই আমি কৃতজ্ঞ। আর আমি তো এখন ভালো আছি। আপার কষ্ট করে আসার দরকার নেই।’ ফলে প্রধানমন্ত্রীর বিএসএমএমইউ’র আসার সিদ্ধান্ত বাতিল হয়েছে।
এর আগে আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছিলেন বিএসএমএমইউ’র কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী আহসান।
তিনি বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। ওবায়দুল কাদেরের শ্বাসকষ্ট হয়েছিল, প্রেসার বেড়ে গিয়েছিল, ওষুধ দিয়ে এখন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সভার মূলতবি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী ওবায়দুল কাদের সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ে পৌঁছান। কার্যালয়ে প্রবেশের কিছু পরেই তিনি অসুস্থ বোধ করেন। তখনই চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউতে আনা হয়।