ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিং ধোনির আচরণ নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠতে শুরু করেছে। তার খুবই মন্থর গতিতে ব্যাট করা ইংল্যান্ডের কাছে ভারতের হারার অন্যতম কারণ। প্রশ্ন ওঠছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে বাদ দিতেই তিনি এমন কাজ করেছেন কিনা। এখানেই শেষ নয়, ইংল্যান্ড যখন ব্যাপ করছিল, তখনও তার আচরণ ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। তার দয়ায় (!) ইংরেজ ওপেনার জেসন রয় আউট হয়েও বেঁচে যান। তখন তিনি ছিলেন ২০ রানে। শেষ পর্যন্ত ৫৭ বলে ৬৬ রান করেন তিনি। মহেন্দ্র সিং ধোনিও এক্ষেত্রে ডিআরএস নেননি।
ইংল্যান্ডের ইনিংসের ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে হার্দিক পান্ডিয়া শর্ট ডেলিভারি করেন। বল লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে যাওয়ার সময় রয় পুল করতে যান। কিন্তু মিস করেন। বল যায় উইকেট কিপার মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছে। আম্পায়ার আলিম দার ওয়াইড দেন। কিন্তু পান্ডিয়া আউটের বিশাল আবেদন করেন। তার মনে হয় রয় কট বিহাইন্ড হয়েছেন। কিন্তু উইকেটের পেছন থেকে ধোনি একবারের জন্যও আবেদন করেননি। অধিনায়ক বিরাট কোহলি অবশ্য আউটের আবেদন করেন। পান্ডিয়ার মতো তারও মনে হয় ধোনির গ্লাভসে জমা পড়ার আগে বল রয়ের ব্যাট বা গ্লাভসে লাগে। বরাবরের মতো এবারও কোহলি ডিআরএস নেবেন কিনা তা নিয়ে আলোচনা করেন ধোনির সঙ্গে। কিন্তু ধোনি রাজি হননি। তার কথা শুনে কোহলিও আর ডিআরএস নেননি। তবে তাকে দেখে মনে হয়, আম্পায়ারকে বলছেন, ওয়াইড দেওয়ার আগে তিনি একবার তৃতীয় আম্পায়ারের মতামত নিতে পারতেন।
এরপর টেলিভিশন রিপ্লেতে ‘আলট্রা এজ’ প্রযুক্তি দেখায় বল জেসন রয়ের গ্লাভসে লেগে ধোনির হাতে যায়। ধোনি ডিআরএস নেয়ার জন্য কোহলিকে বললে রয় তখনই ফিরে যেতেন। তার উইকেট পেতে ভারতকে আরো ১২ ওভার অপেক্ষা করতে হতো না।
টুইটারে ভারতীয় সমর্থকরা ছেড়ে কথা বলেননি আলিম দারকে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ, পাকিস্তানের টিকে থাকার জন্য এই ম্যাচে ভারতের জেতা দরকার ছিল। সে কথা মাথায় রেখে একজন লেখেন, ‘সব পাকিস্তানী আজ ভারতের জয় চাইছে। শুধু আলিম দার চাইছেন না।’ আরেকজন লেখেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি কী করে পাকিস্তানকে সেমিফাইনালে পাঠানো যায়। আর একজন পাকিস্তানি আম্পায়ার আমাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিলেন।’